কক্সবাজার, রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

করোনাভাইরাস নিয়ে টেকনাফ সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরপরই কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কেননা মিয়ানমার হয়ে চীনের অনেক পণ্য  টেকনাফ স্থলবন্দর ও করিডোর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ফলে বন্দরে আগত  ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে নিয়মিত।

টেকনাফস্থল বন্দরে ডা. শুভ্র দেবের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ডা. শুভ্র দেব বলেন, ‘ঢাকায় তিন জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর পরই টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে আসা ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সরাসারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানার পরীক্ষা-নিরীক্ষার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। তবে যে ব্যবস্থায় আমরা করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, এতে নিজেরাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছি।

স্থানীয়দের মতে, বন্দর ও করিডোর এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হোক। কারণ চীনের সঙ্গে তাদের সীমান্ত রয়েছে। ওই সীমান্ত দিয়ে চীনের পণ্য সরাসরি মিয়ানমার আসে। এসব পণ্য ট্রলারে করে আনা হচ্ছে বাংলাদেশে।

চীনে করোনা ভাইরাস থাকলেও এই ভাইরাস এখনও মিয়ানমারে সংক্রমণের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘করোনা নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জরুরি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ভাইরাস শনাক্তে প্রতিদিন বন্দরে আগত জাহাজ ও ট্রলারের ক্রু ও মাঝিমাল্লাদের পারমাল স্ক্যানিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেহেতু টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যাত্রী পারাপারের কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে এই এলাকা খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টির সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। তবে কারও শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে বলা হয়েছে। এই ভাইরাস সসম্পর্কে জন সচেতনতার তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, করোনা নিয়ে বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপজেলা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল টিম কাজ করছেন। বন্দরে আসা মিয়ানমারের ট্রলারে থাকা নাগরিকদের স্ক্যানিং করা হচ্ছে। তাছাড়া তাদের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এসব নাগরিকরা যেন দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতা বাড়ানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: